ইন্ডিকেটর

২৮ সেপ, ২০১৫

সহজ কথায় ইন্ডিকেটর হল প্রাইস অ্যাকশনের একটি চিত্রভিত্তিক নির্দেশনা। অর্থাৎ বর্তমান পাইস থেকে পরবর্তী পাইস ডাউন করবে কি আপে যাবে এই ধরণের নির্দেশনা ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে পাওয়া যায়। টেকনিক্যাল এনালাইসিসে ইন্ডিকেটর অনেক জনপ্রিয় একটি সিস্টেম যা প্রায় সকল ট্রেডারকে ব্যবহার করতে দেখা যায়।
ইন্ডিকেটর হল প্রোগ্রামিং কোডের সমন্বয়ে কিছু লজিক নিয়ে গঠিত একটি ডিরেকশন পদ্ধতি তাই যদি কখনও মার্কেট ট্রেন্ড ওই পদ্ধতির বাইরে রেয়াক্ট করে তখন আর ঐ ইন্ডিকেটরের সুফল পাওয়া যায় না, তবে কিছু শক্তিশালী ইন্ডিকেটর আছে যেগুলো আপনার ট্রেডিংকে অনেক সহজ এবং রিলায়েবল করে। ভিন্ন রকম ইন্ডিকেটর ভিন্ন ধরণের কাজ করে থাকে। তবে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের জন্য ইন্ডিকেটর একটি বড় এবং মৌলিক হাতিয়ার। মোটামুটি সব ট্রেডাররাই ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে ট্রেড করতে পছন্দ করে।
ফরেক্স মার্কেটে ডিফল্ট (ফ্রী) সহ অনেক কমার্শিয়াল ইন্ডিকেটর পাওয়া যায়। কখনও পুরোপুরি ইন্ডিকেটর নির্ভর হয়ে ট্রেড করবেন না। ইন্ডিকেটরকে ব্যবহার করবেন ট্রেড বা অর্ডারের পারফেকশন বাড়াতে অর্থাৎ আপনি যে সব স্ট্রেটিজি জানেন সেই অনুসারে অর্ডার করতে ইন্ডিকেটর আপনাকে সাহায্য করবে এবং আপনার ডেসিশন মেকিং-এ হেলপিং হেন্ড হিসেবে কাজ করবে। যে ইনডিকেটরই ব্যবহার করবেন প্রথমে অবশ্যই তার বিহেবিয়ার বুঝে ভালভাবে ডেমোতে প্র্যাকটিস করে ইন্ডিকেটরের সাকসেস রেট বুঝে তারপর লাইভ মার্কেটে এপ্লাই করবেন। যেহেতু ইন্ডিকেটর টেকনিক্যাল এনালাইসিস বেসেকটি ইন্সট্রুমেন্ট তাই ফান্ডামেন্টাল নিউজের কারণে ইন্ডিকেটর কখনও তার স্বাভাবিক নির্দেশনার ব্যাতিক্রম করতে পারে। তাই সাবধান থাকুন। কিছু কমন এবং ভাল ফলাফল প্রদান করে এমন ইন্ডিকেটর শিখে ট্রেড করুন।
যেহেতু ফরেক্স মার্কেটে আমাদের সব শিক্ষার ফাইনাল টার্গেট হল ট্রেডে এন্টার করে এবং সফলভাবে ট্রেড থেকে বের হওয়া তাই আমরা কিছু ইন্ডিকেটর ব্যবহার ট্রেড ওপেন করতে আর কিছু ইন্ডিকেটর ব্যবহার করব ট্রেড ক্লোজ ডিসিশন নিতে।
আমাদের অনেক ট্রেডারের বড় একটি সমস্যা হল এলোমেলো ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে নিজেই মিসগাইড হয়ে যাওয়া। তাই আপনার স্ট্রেটিজি অনুসারে ট্রেড ওপেনের জন্য ২-টি ইন্ডিকেটর আর ট্রেড ক্লোজের জন্য -টি ইন্ডিকেটর দিয়ে নিজেই একটি সেট বা ইন্ডিকেটর প্যাকেজ তৈরি করুন। এতে করে আপনার ট্রেডিং মিসগাইড হবে না এবং শৃঙ্খলার সাথে ট্রেড করতে পারবেন। অনেকগুলো ইন্ডিকেটর একসাথে ব্যবহার করাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তাই আমি এখানে মুলত একটি ট্রেডিং ইন্ডিকেটর প্যাকেজ নিয়ে আলোচনা করব, আশা করছি পরবর্তীতে আপনিও নিজে একটি সেট করে ভাল ট্রেড করবেন।

ট্রেড ওপেন করার জন্যঃ
====================================================
1. মুভিং এভারেজ (Moving Average)
2. বলিঙ্গার বেন্ড (Bollinger Band)
3. জিগজাগ (Zigzag)

ট্রেড ক্লোজ করার জন্যঃ
====================================================
1. আর.এস.আই. - RSI (Relative Strength Index)
2. .ডি.এক্স. – ADX (Average Directional Moving Index)

মুভিং এভারেজঃ
====================================================
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরিধিতে মার্কেটের এভারেজ পাইস ভেলু কি ছিল তা বোঝার জন্য মুভিং এভারেজ খুবই জনপ্রিয় এবং সচরাচর ব্যবহারিত একটি টুল। মুভিং এভারেজ  সাধারণভাবে সম্ভাব্য সাপোর্ট এবং রেসিসটেনসের এরিয়া এবং গতি পরিমাপক একটি টুল হিসেবে ব্যবহারিত হয়। এই টুলটিকে রলিং (Rolling) বা রানিং (Running) এভারেজ টুলও বলা হয়ে থাকে এবং এই মুভিং এভারেজকে টেকনিক্যাল এনালাইসিসের প্রাণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। নভিস থেকে শুরু করে প্রফেশনাল ট্রেডার সবাই মুভিং এভারেজ টুলটি ব্যবহার করে। ফরেক্স মার্কেটে মোটামুটি ২ ধরণের মুভিং এভারেজ ট্রেডাররা বেশি ব্যবহার করে থাকে।
SMA – সিম্পল মুভিং এভারেজ (Simple Moving Average)
EMA – এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ (Exponential Moving Average)

সিম্পল মুভিং এভারেজ (Simple Moving Average):
====================================================
এই ইন্ডিকেটরটি দিয়ে পিরিয়ড এবং প্রাইসের ভিত্তিতে একটি গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে আপনি ট্রেন্ড ডিরেকশনসহ বায় এবং সেল সংকেত বা সিগনাল দিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনি কত দীর্ঘ মেয়াদী বা স্বল্প মেয়াদী ট্রেড করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কত সময়ের মুভিং এভারেজ পছন্দ করছেন। তবে অভিজ্ঞ ট্রেডাররা ৩টি সময়ের মুভিং এভারেজের উপর ট্রেড করে থাকে।  সেগুলো হল-
1. স্বল্পমেয়াদী (Short term) – ১০ দিনের মুভিং এভারেজ
2. মধ্য মেয়াদী (Intermediate Term) – ৫০ দিনের মুভিং এভারেজ
3. দীর্ঘ মেয়াদী (Long Term) – ২০০ দিনের মুভিং এভারেজ

কিভাবে মুভিং এভারেজ বের করবেনঃ
====================================================
SMA = Adding the closing price of a number of time periods / number of periods
উদাহরণ ১ - ৫ দিনের মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে ১.২১৬৬, .২৩৪১, .২৩৯৮, .২৩৬৪, .২৩০৫-এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ;
.২১৬৬ + .২৩৪১ + .২৩৯৮+ .২৩৬৪,+ .২৩০৫ / = .২৩১৪
        উদাহরণ ২ - ১০ ঘন্টার মার্কেট ক্লোজিং প্রাইস যথাক্রমে ১.২২৮১, .২২৭৬, .২২৭১, .২২৬৫, .২২৭১, .২২৬১, .২৩১৩, .২২৯৬, .২২৯৩, .২২৯৫-এর যোগফলকে ঐ সময় পিরিয়ড দিয়ে ভাগ;
.২২৮১, .২২৭৬, .২২৭১, .২২৬৫, .২২৭১, .২২৬১, .২৩১৩, .২২৯৬, .২২৯৩, .২২৯৫ / ১০ = .২২৮২

কিভাবে ট্রেড করবেনঃ
====================================================
মুভিং এভারেজ প্রাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইসের উপরে হয় তাহলে বায় ট্রেড করবেন। এবং পাইস যদি বর্তমান মার্কেট প্রাইসের নিচে হয় তাহলে সেল ট্রেড করবেন।

এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজ (Exponential Moving Average):
====================================================
সিম্পল মুভিং এভারেজের মত এই প্রকার মুভিং এভারেজও মার্কেট ডিরেকশন দেয় তবে পার্থক্য এটাই যে এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে তুলনামুলক পূর্ব পিরিয়ড প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট পিরিয়ড প্রাইসকে অধিক গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। বিষয়টি আরও পরিষ্কার করছি, মনে করুন আপনি ৫ দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ বের করবেন,
প্রথম দিন ক্লোজিং প্রাইস .২১৬৬,
দ্বিতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস .২৩৪১,
তৃতীয় দিন ক্লোজিং প্রাইস .২৩৯৮,
চতুর্থ দিন ক্লোজিং প্রাইস .২৩৬৪,
পঞ্চম দিন ক্লোজিং প্রাইস .২৩০৫
তাহলে ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসকে ৫ দিয়ে ভাগ করলে সিম্পল মুভিং এভারেজ বের হবে যা আমরা পূর্বে শিখেছি। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করুন যে ১ম দিনের ক্লোজিং প্রাইসের সাথে ২য় দিনের ক্লোজিং প্রাইসের একটা বড় ডিস্টেন্স দেখা যাচ্ছে যা পরবর্তী ৩ দিনের এভারেজ ক্লোজিং প্রাইস থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। অর্থাৎ স্বাভাবিক নয়। কারণ ঐ দিন (২য় দিন) ভাল ইকোনমিক নিউজের কারণে প্রাইস অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সাধারণ টেকনিক্যাল এনালাইসিসের মধ্যে পড়ে না। সিম্পল মুভিং এভারেজে  নির্দিষ্ট কোন দিনকে অধিক কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি। আর এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজের পার্থক্যটা এখানেই। এক্সপোনেনশিয়াল মুভিং এভারেজে প্রথম দুদিনের প্রাইস থেকে সবচেয়ে রিসেন্ট অর্থাৎ লাস্ট ৩ দিনের প্রাইসকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মুভিং এভারেজ বের করা হয়।

বলিঙ্গার বেন্ড (Bollinger Band):
====================================================
এটিও টেকনিক্যাল এনালাইসিসের জনপ্রিয় একটি ট্রেডিং টুল। এই টুলটির মূল উদ্দেশ্য হল মার্কেট হাই এবং লো প্রাইসের একটি তুলনামুলক পরিধি পরিমাপ করা। যা তিনটি বক্ররেখা (Curve)-এর মাধ্যমে অঙ্কিত। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট ডিবিয়েশন পরিমাপের মাধ্যমে তিনটি বক্ররেখা দিয়ে অঙ্গিত একটি সিকিউর প্রাইস বাউন্ডারি।
        মাঝখানের রেখাটিকে মিডল বলিঙ্গার বলা হয় যা সোজাসুজি সিম্পল মুভিং এভারেজের কাজ করে থাকে এবং ডিফল্ট ২০ ডে পিরিয়ডে সেট থাকে, আপনি চাইলে কাস্টোমাইজ করতে পারেন। দুটি স্ট্যান্ডার্ড ডিবিয়েশনে উপরের রেখাটিকে আপার বলিঙ্গার বলা হয় এবং নিচের রেখাটিকে লাওয়ার বলিঙ্গার বলা হয়। মার্কেট volatility যখন বাড়ে তখন Bands গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চওড়া হতে থাকে  আবার যখন volatility কমে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে Bands গুলো সঙ্কুচিত হতে থাকে। বলিঙ্গার বেন্ড ট্রেডিং-এ সাধারণত দুধরণের ফরমেশন দেখা যায়। বলিঙ্গার বেন্ড বাউন্স এবং স্কুয়িজ।

বলিঙ্গার বেন্ড বাউন্সঃ
====================================================
মার্কেট প্রাইস আপার বা লাওয়ার যে লাইনেই থাকুক না কেন তা যখন ফিরে এসে  মিডল বলিঙ্গারকে টাচ করে তাকেই বলিঙ্গার বাউন্স বলে। ঠিক এভাবে আপার বা লাওয়ার বলিঙ্গারের মাধ্যমে পাইস যখন বার বার মিডল বলিঙ্গারকে টাচ করে তখন ছোট ছোট কিছু সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স তৈরি হয় আর এই সকল মিনি সাপোর্ট এন্ড রেসিস্টেনসকে ডায়নামিক সাপোর্ট এবং রেসিস্টেন্স বলা হয়। বলিঙ্গার বেন্ড বাউনসের মাধ্যমে আপনি সহজে রেঞ্জবাউন্ড ট্রেডিং করতে পারেন।

বলিঙ্গার বেন্ড স্কুয়িজঃ
====================================================
বলিঙ্গার বেন্ড স্কুয়িজ হল এই ইন্ডিকেটরের আরেকটি রেগুলার আকৃতি যা মার্কেটের অবস্থা সংকট মুহূর্ত নির্দেশ করে। যখন দেখবেন আপার এবং লাওয়ার বলিঙ্গার লাইন দুটি একসঙ্গে ক্লোজ হয় তখনই এই অবস্থার সূচনা হয়। আর এই ধরণের পজিশনের পর মার্কেট যে কোন একটি ডিরেকশনে ব্রেক আউট করে এবং অনেক লম্বা একটি মুভিং-এর পর প্রাইস আবার ব্যাক করে। বেশিরভাগ ট্রেডাররা এই সুযোগটির অপেক্ষায় থাকে। সাধারণত ক্যান্ডেল যখন আপার বেন্ড হয়ে স্কুয়িজ থেকে বের হয় তখন পরবর্তী মার্কেট ট্রেন্ড আপ হয় এবং ক্যান্ডেল যখন লাওয়ার বেন্ড হয়ে স্কুয়িজ থেকে বের হয় তখন পরবর্তী মার্কেট ট্রেন্ড ডাউন হয়।

বিশেষ নোটঃ
====================================================
প্রাইস যখন বলিঙ্গার বেন্ড লাইনের বাইরে ক্লোজ হয় তখন মার্কেট আরও কন্টিনিউশন বোঝায়।

R.S.I. – Relative Strength Index:
====================================================
এটি একটি মোমেন্টাম ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের প্রাইস ওভারবট এবং ওভারসল্ড অবস্থা বোঝায় এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের এভারেজ বায় এবং সেলের সীমানা নির্দেশ করে ট্রেডিং-এ সহায়তা করে থাকে। এই ইন্ডিকেটরটি 0 থেকে 100 রেঞ্জের মধ্যে এক একটি স্কেলে মার্কেটের এক একটি অবস্থার নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।

স্কেল লেভেল অনুসারে সিগনালঃ
====================================================
৫০ স্কেল লেভেলের উপরে         মার্কেট আপট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
৫০ স্কেল লেভেলের নিচে           মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে আছে বলে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
৭০ স্কেল লেভেলের শীর্ষে           মার্কেটে অতিরক্ত বায় হয়েছে।
৩০ স্কেল লেভেলের নিম্নে           মার্কেটে অতিরক্ত সেল হয়েছে।

বায় ট্রেডঃ
====================================================
যখন RSI ওভারসল্ড লাইন ৩০ লেভেলের উপরের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন বায় অর্ডার করতে পারেন।

সেল ট্রেডঃ
====================================================
যখন RSI ওভারবট লাইন ৭০ লেভেলের নিচের দিকে আড়াআড়ি (Cross) কেটে যাবে তখন সেল অর্ডার করতে পারেন।

RSI দিয়ে কিভাবে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ
====================================================
RSI যেমন খুব ভাল একটি ইন্ডিকেটর ট্রেডে এন্টার করার জন্য আবার তেমনি ভাল একটি ইন্ডিকেটর ট্রেড থেকে বের হওয়ার জন্যও। অর্থাৎ এই ইন্ডিকেটরটি আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে এবং বের হওয়ার সিগনাল দিবে।
লক্ষ্য করবেন প্রাইস মুভমেন্টের উপর RSI প্রতিনিয়ত আপডেট হয় অর্থাৎ প্রাইস্ ট্রেন্ড আপ হলে RSI লাইন আপ ইন্ডিকেট করে আবার ডাউনট্রেন্ড হলে ডাউন ইন্ডিকেট করে। আপনি যখন বায় ট্রেড করবেন তখন আপনার লক্ষ্য থাকবে যে RSI ৭০ লেভেল ক্রস বা টাচ করেছে কি না সেই ক্ষেত্রে বেশি লাভের আশায় না থেকে ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন আবার যখন সেল ট্রেড করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন RSI ৩০ লেভেল টাচ করছে কি না সেই ক্ষেত্রেও আর বেশি লাভের রিস্ক না নিয়ে সেল ট্রেডটি ক্লোজ করে দিতে পারেন।
বাউন্স ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে ট্রেড ক্লোজ করতে ৭০ বা ৩০ লেভেল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে নেগেটিভ সুফল আসতে পারে, সেই ক্ষেত্রে ৫০ লেভেলে ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন। অর্থাৎ আপনার বায় ট্রেড হবে ৩০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল এবং সেল ট্রেড হবে ৭০ লেভেল থেকে ৫০ লেভেল।
তাছাড়া RSI দিয়ে Divergence এবং Swing ট্রেডসহ অনেক স্ট্রেটিজিকেল ট্রেড করা যায় যা আমরা পরবর্তী এডভান্সড লেসনে শিখব।

ADX-Average Directional Index:
====================================================
এই ইন্ডিকেটর দিয়ে একটি ট্রেন্ডের Strength (শক্তি) নির্ধারণ করতে পারবেন যে ট্রেন্ডটি কত শক্তিশালী বা কত দুর্বল। এই ক্ষেত্রে হাই রিডিং (High Reading) ট্রেন্ড একটি শক্তিশালী এবং লো রিডিং (Low Reading) ট্রেন্ড একটি দুর্বল ট্রেন্ডের ইঙ্গিত করে। এই ইন্ডিকেটরটি একটি এভারেজ ডিরেকশনাল লাইন সহ একটি প্লাস (+) ডিরেকশন এবং একটি মাইনাস (-) ডিরেকশন লাইনে তিনটি লেভেলের মাধ্যমে ট্রেডিং সিগনাল প্রদান করে।

লাইন পরিচিতিঃ
====================================================
ADX লাইন = Generally White
+DI লাইন = Green
-DI লাইন = Red

লেভেল অনুসারে ADX ট্রেডিং সিগনালঃ
====================================================
 ADX লাইন ০-২৫ লেভেলের নিচে অবস্থান করলে বর্তমান ট্রেন্ডটি খুবই দুর্বল বা ট্রেন্ড নেই।
 ADX লাইন ২৫-৫০ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে বর্তমান ট্রেন্ডটি শক্তিশালী।
 ADX লাইন ৫০-৭৫ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে ট্রেন্ড খুব শক্তিশালী।
 ADX লাইন ৭৫-১০০ লেভেলের মধ্যে মুভ করলে ট্রেন্ড সর্বোচ্চ পরিমাণে।
 +DI লাইন যদি –DI লাইনের উপরে থাকে আপট্রেন্ড পজিশন।
 -DI লাইন যদি +DI লাইনের উপরে থাকে ডাউনট্রেন্ড পজিশন।
আর যখন দুটি DI লাইন ক্রসিং হয় তখন ট্রেন্ড চেঞ্জ হচ্ছে বুঝতে হবে এবং তারপরই নিশ্চিত হতে পারবেন যে পরবর্তী ট্রেন্ডটি কি হবে।

কখন ট্রেড করবেনঃ
====================================================
ADX -/+ লাইনের স্থান নির্ণয়ের মাধ্যমেই আপনাকে ট্রেডে ঢুকতে হবে। যখন ADX লাইন ২৫ লেভেল ক্রস করে এবং +DI লাইন –DI লাইনের উপরে থাকে তখন বায় ট্রেড করবেন। বিপরীতভাবে ADX লাইন ২৫ লেভেল ক্রস করলে –DI লাইন যখন +DI লাইনের উপরে থাকবে তখন সেল ট্রেড করবেন।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যোগাযোগ

নাম

ইমেল *

বার্তা *