ট্রেডিং ফেইজ

২৮ সেপ, ২০১৫

আপনার ট্রেডকে আরও নিপুনভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনাকে আরও কিছু বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে যা আপনার ট্রেডকে আরও বেশি ইফেক্টিভ এবং ফলপ্রদ করবে এবং ফাইনালি স্ট্রং একটি ট্রেডিং সিস্টেমে ট্রেড করতে সাহায্য করবে।

হিস্টোরিকেল  মুভসঃ
=================================================
ট্রেড ওপেন করার আগে পূর্বের চার্ট প্যাটার্ন বা চার্ট মুভমেন্ট ভালভাবে দেখে কয়েকটি মুভমেন্ট নির্দিষ্ট করুন যেগুলো আপনার স্ট্রেটিজির সাথে মাননসই। অর্থাৎ কয়েকটি চার্ট মুভমেন্ট সেম্পল নির্দিষ্ট করুন।

সেট আপঃ
=================================================
যেসব চার্ট মুভমেন্টগুলো পছন্দ করলেন এবার খুঁজে বের করুন ঐ সব চার্ট মুভমেন্টে কমন প্যাটার্নগুলো কি। যেমনঃ আপনি লক্ষ্য করলেন সবগুলো মুভমেন্ট তৈরি হয়েছে এক একটি consolidation pattern-এর পর অথবা দেখলেন মার্কেট মুভমেন্ট সব সময় একটি নির্দিষ্ট লেভেলের উপর বা নিচে ঘোরাঘুরি করছে। এভাবে আপনি আইডিয়া পেয়ে যাবেন মার্কেট মুভমেন্ট কি, পরবর্তী মুভমেন্ট কি হবে।

ট্রেডিং এন্ট্রি রুলঃ
=================================================
এবার ট্রিগ করার পালা, অর্থাৎ চার্ট মুভমেন্ট ঠিক করলেন এবং মুভমেন্টগুলো কখন কোন পর্যায় এসে অবস্থান নিয়েছে জেনে গেলেন হিস্টোরিকেল মুভস এবং সেট আপ ফেইজের মাধ্যমে। তাই এখন অর্ডার করা খুব সহজ হয়ে গেল আপনার জন্য, বর্তমান মার্কেট মুভস কি তা পূর্বের আপনার পছন্দ করা সেট আপ প্যাটার্নের সাথে মিলান এবং পরবর্তী অর্ডার করুন। যেমন ধরুন মার্কেট এখন এমন একটা পর্যায় আছে যার পূর্বের মুভ ছিল রিভারসেল তাই এখনও আপনি রিভারসেল অর্ডারের জন্য রেডি হতে পারেন যদি ফান্ডামেন্টাল কোন ইফেক্টিভ নিউজ না থাকে। তবে পুরোপুরি হিস্টোরিকেল চার্ট নির্ভর না হয়ে স্ট্রেটিজি মোতাবেক অর্ডার করুন।

রিস্ক ম্যানেজমেন্টঃ
=================================================
এই ফেইজে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি যদি ট্রেড লস করেন বা ট্রেড যদি আপনার প্রতিকুলে যায় তাহলে কত পয়েন্ট পর্যন্ত ত্যাগ করবেন।

এক্সিট এবং টেক প্রফিট লেভেলঃ
=================================================
মাঝে মাঝে এমন হয় আপনার ট্রেডটি টেক প্রফিটও হিট করে না আবার স্টপ লসও ট্রিগ করে না। এই অবস্থায় আপনাকে স্ট্রেটিজি একটু চেঞ্জ করতে হবে অর্থাৎ আপনি যেরকম একটি ক্রস অভারে মার্কেটে ঢুকেছেন ঠিক আরেকটি নেগেটিভ ক্রসওভারে মার্কেট থেকে বের হয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি একটি রিভার্সেল প্যাটার্নে মার্কেটে ঢুকেন তাহলে পরবর্তী আপনার বিপরীত রিভার্সেল প্যাটার্নে আপনাকে মার্কেট থেকে বের হয়ে যেতে হবে। অথবা আপনি RR Ratio :১  তে ট্রেড সেট করতে পারেন।

ট্রেড ম্যানেজমেন্টঃ
==================================================
এই ফেইজে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কি একাধিক ট্রেড করবেন নাকি স্কেলপিং করবেন।

মানি ম্যানেজমেন্টঃ
=================================================
আপনার ট্রেডিং ব্যালেন্স কিভাবে ব্যবহার করবেন।

Key Point of Developing Trade:
================================================
ভাল ট্রেডিং সিস্টেম সাজাতে বা তৈরি করতে নিচের পয়েন্টগুলো জেনে নিয়ে ট্রেড করুন।
ট্রেডের ক্ষেত্রে নিজের করা একটি সুন্দর ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন।
ট্রেডিং-এর ক্ষেত্রে -৩ ইন্ডিকেটরের সাহায্য নিন, অনেকগুলো ব্যবহারের দরকার নেই।
মানি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ট্রেড শুরু করুন।
প্রতি ট্রেডে টেক প্রফিট সহ স্টপ লস সেট করে ট্রেড করুন।
ট্রেডিং-এর সময়ব্যাপ্তি অনুসারে প্রফিট নিন। প্রফিটেবল ট্রেড তাড়াতাড়ি ক্লোজ এবং লস ট্রেডকে দীর্ঘায়িত করা থেকে বিরত থাকুন।
কয়েকটি ট্রেডে সাকসেসের সাথে সাথে রিস্ক বাড়াবেন না। অতিরিক্ত ট্রেড করবেন না।
ট্রেডের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডিং প্ল্যান চেঞ্জ করবেন না।
নতুন স্ট্রেটিজিতে সরাসরি রিয়েল একাউন্টে ট্রেড করবেন না, আগে ডেমোতে সাকসেস রেট দেখে নিন।
৯ সফল এবং ব্যর্থ উভয় ট্রেডেরের রেকর্ড রাখুন, পরবর্তী সময়ে কাজে লাগবে।
১০রোবটসহ বিভিন্ন রেডিমেইট অটো ট্রেডিং টুলের উপর নির্ভর করে ট্রেড করবেন না।
১১ট্রেন্ডের বিপরীতে ট্রেড করবেন না। মনে রাখবেন ট্রেন্ড ইজ ইউর ফ্রেন্ড।
১২দু-একটা ট্রেডে লস করে রেগে গিয়ে টোটাল রিস্ক নিবেন না।
১৩ফ্রেশ মাইন্ড না নিয়ে ট্রেড শুরু করবেন না।
১৪আপনার ট্রেডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং স্ট্রেটিজি ডেভেলপ করুন সব সময়।
১৫প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে বা নির্দিষ্ট প্রফিট টার্গেটে ট্রেড করুন। টার্গেট ফিলাপ হয়ে গেলে ঐ দিনের জন্য ট্রেড সমাপ্ত করুন। মার্কেট ভলাটিলিটি ভাল না থাকলে টার্গেট ফিল করতে যাবেন না।
১৬ইমোশনাল ট্রেড করবেন না, লোভ করবেন না।
১৭একাদিক ট্রেডের ক্ষেত্রে কো-রিলেটেড কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করবেন না। যেমনঃ যদি EUR এবং GPB উভয়কে বায় বা সেল অর্ডারে ট্রেড করেন তাহলে প্রফিট বা লস রেসাল্ট প্রায় সমান আসবে এবং মার্কেট আপনার বিপরীতে গেলে রিস্ক বেড়ে যাবে।
১৮ট্রেডিং পসিবিলিটি নিয়ে ট্রেড করুন, কখনও দেখবেন লসিং ট্রেডে আপনার অনভিজ্ঞতার কোন কারণ নেই।
১৯ট্রেডের ক্ষেত্রে প্রতি ট্রেডে প্রফিট আশা করবেন না।
২০শর্ট টাইম ট্রেডের ক্ষেত্রে একটিভ টাইম সেশন বুঝে ট্রেড করুন।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যোগাযোগ

নাম

ইমেল *

বার্তা *